গাজীপুরের টঙ্গী এবং সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিকদের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভের ফলে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়ক অবরোধ ও কারখানায় ভাঙচুরের কারণে টঙ্গী ও আশুলিয়াতে অন্তত ৪৬টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভের কারণে আশুলিয়ায় অন্তত ৩৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা ১১টি কারখানায় ভাঙচুর করে, ফলে সেখানেও কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা আশুলিয়ার ডিইপিজেড এবং বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বিভিন্ন কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা নবীনগর-চন্দ্রা এবং বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে ওই অঞ্চলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অবশেষে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সড়ক থেকে অবরোধ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম জানান, শ্রমিকরা চাকরি ও সমানুপাতিক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীতে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে ১১টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপত্তার জন্য সোমবার রাতে যৌথ অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ, জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।